এককালীন জমাকৃত অর্থ নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে সুদ-মূলে দ্বিগুণ হবে।
- যেকোন প্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশী সুস্থ মস্তিস্কের ব্যক্তি একক অথবা যৌথ নামে এই স্কিমের অধীনে হিসাব খুলতে পারবে।
- অভিভাবক কর্তৃক পরিচালনায় একজন নাবালকের নামেও এই হিসাব খোলা যেতে পারে।
- এককালীন জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা অথবা এর গুণিতক হবে; তবে সর্বোচ্চ ৫০,০০,০০০/- (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকার অধিক হবে না।
- মেয়াদপূর্তীতে স্কিমটি পুন:নবায়নযোগ্য নয়।
- হিসাবটি পরিচালনায় ব্যাংকের নিজস্ব কোন চার্জ/ফি নেই, কেবলমাত্র সরকারী চার্জসমূহ (শুল্ক ও কর) প্রযোজ্য হারে কর্তন করা হবে।
২. মেয়াদকাল ও সুদ হার:
- ৮০ (আশি) মাস শেষে স্থায়ী আমানত স্কিমটি সুদে-মূলে দ্বিগুণ হবে (কর ও শুল্ক ব্যতীত) যা হিসাবায়নে বার্ষিক ১০.৬৭% চক্রবৃদ্ধি সুদ হার প্রযোজ্য হবে; হিসাবের মেয়াদকাল এবং সুদ হার সময় সময় পরিবর্তনযোগ্য।
- ব্যাংক প্রয়োজনে মেয়াদপূর্তীর পূর্বেও এই স্কিমের আওতায় চলমান হিসাবসমূহের মেয়াদকাল এবং সুদ হার যেকোন সময় পরিবর্তন করতে পারবে।
৩. কর ও শুল্ক:
রাজস্ব বিভাগ ও সরকারের অন্যান্য সংস্থা কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত হারে প্রতিবছর প্রযোজ্য কর, শুল্ক, ইত্যাদি কেটে রাখা হবে।
৪. মেয়াদপূর্তীর পূর্বে নগদীকরণ:
- i) ০৬ (ছয়) মাসের আগে - কোন সুদ নেই।
ii) ০৬ (ছয়) মাস এবং তার উপরে হলে ঐ সময়ের জন্য সর্বনিম্ন সঞ্চয়ী সুদের হার।
iii) দিন গণনার ভিত্তিতে সুদ প্রদান করতে হবে।
iv) বিদ্যমান সরকারি নিয়ম অনুযায়ী AIT এবং আবগারি শুল্ক ইত্যাদি কাটা হবে।
৫. ঋণ সুবিধা:
- স্কিমটির বিপরীতে অনুমোদিত সর্বোচ্চ ঋণসীমা মোট আমানত স্থিতির ৮০% (সুদ ব্যতিত); স্কিমটি পূর্বস্বত্ব তথা লিয়েন রেখে শাখা নিজ ক্ষমতাবলে এই ঋণ প্রদান করতে পারবে। তবে, নাবালকের হিসাবের বিপরীতে এই ঋণ সুবিধা প্রযোজ্য হবে না।
- ঋণের সুদ হার আমানত স্কিমে প্রযোজ্য সুদ হার অপেক্ষা ২.০০% বেশি প্রযোজ্য হবে।
- ঋণ চুক্তির শর্ত মোতাবেক বিতরণকৃত ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
- ঋণ সমন্বয়ে ব্যাংক প্রয়োজনে ‘রাইট অব সেট অফ’ Right of Set-off ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।